ঢাকাই চলচ্চিত্র (১৯৫৬-১৯৭১) (প্রথম ভাগ) - সজল শর্মা

ঢাকাই চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগ ১৯৫৬-১৯৭১ সালে নির্মিত সিনেমাগুলো এবং তাদের পেছনের ইতিহাস নিয়ে লিখেছেন সজল শর্মা। আজ প্রকাশিত হলো প্রথম পর্ব।


১৯৫৬ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ঢাকার চলচ্চিত্র নিয়ে আজকের এই লেখা। ঢাকাই চলচ্চিত্রের তখন সুনাম ছিল নিজেদের কাজের প্রতিফলন। বাঙ্গালীদের হাতেই এসেছে উর্দু প্রথম রঙ্গীন ছায়াছবি। বাঙ্গালীদের হাতেই এসেছে পাকিস্তানের ইতিহাসের অনেক অনেক হিট, সুপারহিট, গোল্ডেন জুবিলি, প্লাটিনাম জুবিলি সফলতার ছায়াছবি। সাল হিসেবে নিচে ঢাকার চলচ্চিত্রের কথা শুরু করছি। লেখাটি বেশ বড় হয়ে যাবে। তাই কয়েক ভাগে দেবার চেষ্টা করব।

১৯৫৬
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জন্য চিরস্মরণীয় এক বছর। এই বছরেই প্রথম বাংলা ছায়াছবি “মুখ ও মুখোশ” মুক্তি পায়। ছায়াছবির কাহিনীটি ছিল পারিবারিক নাটকের মত, ভাল-খারাপের দ্বন্ধ নিয়ে। ছায়াছবিটির প্রিন্টিং এবং প্রসেসিং হয়েছিল পাকিস্তানের লাহোরে।জব্বার খান ছিলেন এই ছায়াছবির নায়ক। যিনি একাধারে বাংলা ছায়াছবির কাহিনী লেখক, প্রযোজক ও পরিচালক ছিলেন। এই ছবিতে অন্যান্যদের মধ্যে অভিনয় করেন পূর্ণিমা সেন, নাজমা, জহরত আরা, আলী মনসুর, ফাফিক, নজরুল আনার খান, সাইফুদ্দিন, বিলকিস প্রমুখ। যুগ্মভাবে প্রযোজক ছিলেন নুরুজ্জামান, শহীদুল আলম, কলিমুল্লাহ, এম এ হাসান। জব্বার খান নিজেই পরিচালনা করেন ছায়াছবিটি এবং এর কাহিনী তাঁর নিজেরই লেখা। ছায়াছবিটিতে সংগীত দিয়েছিলেন সমর দাস।চিত্রগ্রহন করেছিলেন ও এম জামান।তেসরা আগস্ট ১৯৫৬ সালে ছায়াছবিটি ঢাকায় মুক্তি পায়।

১৯৫৯
প্রথম ঢাকায় নির্মিত ছায়াছবির প্রায় তিন বছর পরে আসে ঢাকা থেকে নির্মিত প্রথম উর্দু ছায়াছবি। ছায়াছবিটির নাম “জাগো হুয়া সাভেরা”। ছায়াছবিটির কাহিনী ছিল পূর্ববাংলার জেলেদের জীবন নিয়ে। দারিদ্রের সাথে যুদ্ধ করে তাদের বেঁচে থাকা। মহাজনদের সুদের কাছে ধরাশায়ী জেলে জীবন।ছায়াছবিটির অভিনয় শিল্পীর মধ্যে ছিলেন খান আতাউর রহমান (আনিস)। যিনি পরবর্তিতে ঢাকাই চলচ্চিত্রের একজন সফল প্রযোজক, পরিচালক এবং সংগীত পরিচালক হিসেবে আবীর্ভূত হোন। অন্যান্য অভিনয় শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন তৃপ্তি মিত্র, জুরাইন, রক্সি, রেদওয়ান, কাজী খালেক, নাসিমা, ময়না, মীনা লতিফ প্রমুখ। প্রযোজক ছিলেন নোমান তসীর, আর পরিচালক আছেজয় কারদার। স্ক্রিনপ্লে এবং সংগীতে ছিলেন ফয়জ আহমদ ফয়জ। যিনি উর্দু সাহিত্যের কিংবদন্তী এক কবি হিসেবে পরিচিত। এই ছায়াছবির মাধ্যমেই তাঁর চিত্রনাট্যকার এবং গীতিকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে। ছায়াছবির মূল কাহিনী মানিক বন্দোপাধ্যায়ের উপন্যাস থেকে নেওয়া। যদিও উপন্যাসের নাম উল্লেখ পাওয়া যায়নি তথ্যসূত্রে। তবে চোখ বন্ধ করেই বলা যায়- “পদ্মা নদীর মাঝি” হবে। ফটোগ্রাফিতে ছিলেন জার্মানির ওয়াল্টার লাসালী। সম্পাদনায় ইউকের মিস বিনভেট, আর রেকর্ডে ইউকের জন ফ্লেতেহের। সঙ্গীতে ছিলেন তমর বরণ (ভারত), তাঁর সাথে সহকারী হিসেবে ছিলেন শান্তিকুমার চ্যাটার্জী (ভারত)। সঙ্গীত শিল্পীদের মধ্যে শুধু আলতাম মাহমুদের নাম পাওয়া গেছে। ছায়াছবিটি ২৫ শে মে ১৯৫৯ সালে মুক্তি পায়।ব্যবসায়িকভাবে এই ছবি ততকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে সফল হয়নি। করাচীর জুবিলী সিনেমাহলে শুধুমাত্র মুক্তি পেয়েছিল; তিন দিনে নয়টি শো এর মধ্য দিয়েই ছবিটি বন্ধ হয়। তবে ছায়াছবিটি আন্তর্জাতিক পুরুস্কার পেয়েছিল। যার মধ্যে অন্যতম- মস্কো ফিল্ম ফেস্টিভলে ছায়াছবিটির স্বর্ণপদক পাওয়া। ২০০৭ সালে ছায়াছবিটি ফ্রান্সে আয়োজিত উপমহাদেশীয় চলচ্চিত্র মেলায় প্রদর্শিত হয়েছিল।তবে ছায়াছবিটি পাওয়া যায় এক ব্রিটিশের কাছ থেকে। আয়োজনের কর্মকর্তা জনাব জিল্ডো ফিলিপ ছায়াছবিটি উদ্ধার করেন।

‘এদেশ তোমার আমার’- ছবির পরিচালক ছিলেন এহতেশাম। অভিনয় করেছেন সুমিতা দেবী, খান আতাউর রহমান, রেহমান, সুভাষ দত্ত, মেসবাহ প্রমুখ।সুমিতা দেবীর বিপরীতে ছিলেন আনিস। মাহবুবা রহমানের গাওয়া ‘মনে তে লাগলো রঙ আহা তা কেউ জানলো না’ গানটি খুবই জনপ্রিয় হয়।

‘আকাশ আর মাটি’ ছায়াছবিটি মুক্তি পায় ১৯৫৯ সালের ২৪ শে জুলাই। এই ছায়াছবিতে সুমিতা দেবীর বিপরীতে ছিলেন আমিন এবং প্রবীন কুমার।

‘মাটির পাহাড়’ ছায়াছবির পরিচালক ছিলেন মহিউদ্দীন।নায়ক ছিলেন ইকবাল, উনার বিপরীতে ছিলেন সুলতানা জামান ও রওশন আরা। ছায়াছবিটির কাজ ১৯৫৬ সালেই শুরু হয়েছিল। ছবির ৬০ ভাগ কাজই সম্পন্ন হয়েছিল কক্সবাজারে। বাকি কাজ ঢাকায় হয়। ইকবাল ছিলেন কিংবদন্তি সাত ছায়াছবির নায়ক। এই ছায়াছবি ছিল রওশন আরার প্রথম ছায়াছবি। তিনি ১৯৫৬ সালে আইএসসি পাস করার পর ঢাকার মিটফোর্ড মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। ঢাকায় আসার পর পরিচালক মহিউদ্দিনের সঙ্গে তার দেখা হয়। যাঁর হাত ধরেই ১৯৫৭ সালে রওশন আরা “মাটির পাহাড়” ছবিতে নায়িকা হিসেবে অভিনয় করার সুযোগ পান। এভাবেই রওশন আরা একদিন ফিল্মের নায়িকা হয়ে গেলেন। ‘মাটির পাহাড়’ ছবিতে তার সঙ্গে ছিলেন রাজিয়া (সুলতানা জামান), ইকবাল, করিম, খালেক, নুরুল প্রমুখ। ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৫৯ সালের ২৮ আগস্ট।

১৯৬০
১৯৬০ সালে ঢাকা থেকে মুক্তি পায় দু’টি বাংলা ছায়াছবি। ‘আছিয়া’ এবং ‘রাজধানীর বুকে’।

‘আছিয়া’- পরিচালক ছিলেন ফাতেহ লোহানী। এই ছায়াছবিতে নায়িকা ছিলেন সুমিতা দেবী, তাঁর বিপরীতে ছিলেন শহীদ। এই ছায়াছবিটি সে বছর প্রেসিডেন্ট এওয়ার্ডে ভূষিত হয়। ছায়াছবিটির সংগীত পরিচালক ছিলেন আব্বাস উদ্দীন আহমেদ। ‘আছিয়া’ ছবিতে সুমিতা দেবী নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন। তাঁর নায়ক ছিলেন শহীদ। ছায়াছবিতে ফেরদৌসী বেগমের গাওয়া—‘মেঘে দেওয়ায় করছে মেঘলী তোলাইল পূবাল বাও’ গানটিতে ঠোঁট মিলিয়েছিলেন সুমিতা দেবী। ছায়াছবির কাহিনী অনুসারে তাঁর প্রেমিক শহীদ। কিন্তু শহীদের চাচা কাজী খালেকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। প্রেমিকা হয়ে গেল চাচী। বিয়োগান্তক পরিণতিতে দুজনের সহমরণ হয়েছিল।

‘রাজধানীর বুকে’ ছায়াছবিটির পরিচালক ছিলেন এহতেশাম। ছায়াছবিটি খুব জনপ্রিয় হয়। ছায়াছবিটিতে অভিনয় করেন সুভাষ দত্ত। তাছাড়া এই ছায়াছবিতে খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন গোলাম মোস্তফা। এটাই ছিল তাঁর অভিনীত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবি।

১৯৬১
এ বছর ঢাকা থেকে মোট চারটি ছায়াছবি মুক্তি পায়। ‘হারানো দিন’, ‘যে নদী মরু পথে’, ‘কখনো আসেনি’, এবং ‘তোমার আমার’।

‘হারানো দিন’- এই ছবিটি ছিল ১৯৬১ সালে ঢাকা থেকে নির্মিত বাংলা ছায়াছবি। ছায়াছবিটির পরিচালক ছিলেন মুস্তাফিজ। অভিনয় করেন শবনম এবং রহমান। এটা ছিল প্রধান নায়িকার ভূমিকায় শবনমের প্রথম ছবি। আর ঢাকার রোজ গার্ডেনে চিত্রধারণ হওয়া এটাই ছিল প্রথম ছবি। সংগীত পরিচালক ছিলেন রবীন ঘোষ।

‘যে নদী মরু পথে’- এই ছায়াছবির পরিচালক হলেন সালাউদ্দীন। খান আতাউর রহমান অভিনেতা ও সংগীত পরিচালক হিসেবে এই ছায়াছবিতে কাজ করেছেন। নায়িকা হিসেবে নাসিমা খানের অভিনীত প্রথম ছায়াছবি এটি, তাঁর বিপরীতে ছিলেন আনিস। এটি রওশন আরা অভিনীত দ্বিতীয় ছায়াছবি।

শহীন বুদ্ধিজীবি জহির রায়হানের পরিচালনায় একই বছরে মুক্তি পেয়েছিল ‘কখনও আসেনি’। এটাই তাঁর প্রথম চলচ্চিত্র। নায়িকা হলেন সুমিতা দেবী। তাঁর বিপরীতে ছিলেন আনিস। ১৯৫৯ সালের শেষের দিকে এই ছবিতে কাজ করতে গিয়ে সুমিতা দেবীর সাথে জহির রায়হানের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং দুজনে বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ হোন।

‘তোমার আমার’- পাকিস্তান ফিল্ম ম্যাগাজিনের তথ্য অনুসারে এই ছায়াছবিটিও মুক্তি পায় ১৯৬১ সালে। ছায়াছবির পরিচালক ছিলেন মহিউদ্দীন।এটাই আনোয়ার হোসেনের অভিনীত প্রথম ছায়াছবি। তিনি খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেন।মোঃ আনিস নামে তখনকার এক ফিল্মের সহকারী পরিচালক তাকে প্রথম ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন।

১৯৬২
সাল ১৯৬২- ঢাকা থেকে এ বছরও মুক্তি পায় আরও চারটি ছায়াছবি। ‘জোয়ার এলো’, ‘নতুন সুর’, ‘সোনার কাজল’ এবং ‘সূর্যস্নান’।

‘জোয়ার এলো’- ছায়াছবিটির নির্মাতা ছিলেন আব্দুল জব্বার খান। এই ছায়াছবিতে সুচন্দার নায়িকা চরিত্রে অভিনয়ের কথা ছিল। কিন্তু পরবর্তিতে তা হয়নি। নায়ক-নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেন আমিনুল হক আর সুলতানা জামান।

‘নতুন সুর’- ছায়াছবিটির পরিচালক কে ছিলেন তা জানা যায়নি। সুভাষ দত্ত এই ছায়াছবিতে অভিনয় করেছিলেন। নায়িকা হিসেবে রওশন আরা অভিনয় করেছিলেন ছায়াছবিটিতে, তাঁর বিপরীতে নায়ক ছিলেন রহমান।ফেরদৌসী রহমানে সহশিল্পী হিসেবে শিশু শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন এই ছায়াছবিতে প্লেব্যাক করেন।

‘সোনার কাজল’-এই ছায়াছবির পরিচালক ছিলেন জহির রায়হান ও কলিম শরাফী। প্রযোজক ছিলেন মাসুদ চৌধুরী। নায়ক ছিলেন খলিল, নায়িকা সুমিতা দেবী, সহ-অভিনেত্রী ছিলেন সুলতানা জামান।অভিনেতা খলিলকে আমরা বাংলা ছায়াছবিতে খল-নায়ক হিসেবেই চিনি। কিন্তু তিনি ছিলেন সে যুগে রোমান্টিক নায়ক। চাকরী থেকে সাস্পেন্ড হয়ে ১৯৫৯ সালে এই ছায়াছবিতে কাজ শুরু করেন তিনি। এটাই তাঁর প্রথম ছায়াছবি, আর তাও নায়ক হিসেবে। জহির রায়হান অভিনেতা আমিনকে নায়ক হিসেবে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রযোজকের কারণেই তাঁর আগমন। বিপরীতে দুই নায়িকা সুমিতা দেবী ও সুলতানা জামান। খান আতাউর রহমান ও এই ছায়াছবিতে কাজ করেছেন অভিনেতা ও সংগীত শিল্পী হিসেবে।

‘সূর্যস্নান’- এই ছায়াছবির পরিচালক ছিলেন সালাউদ্দীন। সুরকার ও সংগীত পরিচালক হিসেবে ছিলেন খান আতাউর রহমান। ‘পথে পথে দিলাম ছড়াইয়া রে’ এর মত জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছিলেন। গানটিতে কন্ঠ দেন কলিম শরাফী। ছায়াছবির নায়ক ছিলেন আনোয়ার হোসেন, এবং নায়িকা নাসিমা খান। এটি ছিল আনোয়ার হোসেনের দ্বিতীয় ছায়াছবি। রওশন আরাও এই ছায়াছবিতে অভিনয় করেন, তাঁর বিপরীতে ছিলেন মফিজ।

'চান্দা'- তেসরা আগস্ট ১৯৬২, দুই ভাই এহতেশাম এবং মুস্তাফিজের ছায়াছবি 'চান্দা' ঢাকা, করাচী ও লাহোরে মুক্তি পায়। করাচীর নিশাত সিনেমা হলে ছায়াছবিটি সুপার হিট গোল্ডেন জুবিলী সফলতা পায়। অভিনয় শিল্পী হিসেবে ছিলেন সুলতানা জামান, রহমান, শবনম, সুভাষ দত্ত প্রমুখ। পরিচালক ছিলেন এহতেশাম। যিনি ঢাকাই চলচ্চিত্রের একজন সফল প্রযোজক এবং পরিচালক। তাঁর অন্যান্য ছায়াছবিগুলো ছিল তালাশ, মালা, দাগ, আনাড়ি এবং ঢাকা থেকে নির্মিত সর্বকালের সেরা মেগা হিট ছায়াছবি 'চকোরি' (১৯৬৭)। ছায়াছবিটির প্রযোজক ছিলেন মুস্তাফিজ। সুর ও সংলাপে ছিলেন উর্দুভাষী কবি ও গল্পকার সরুর বরাবনক্বি। ঢাকার অনেক উর্দু ছায়াছবির গান তিনি লেখেছিলেন। সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন রবীন ঘোষ।সঙ্গীত শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন ফেরদৌসী রহমান, ফরিদা ইয়াসমিন এবং আনজুমান আরা প্রমুখ।

১৯৬৩
১৯৬৩ সালে ঢাকা থেকে মাত্র দু’টি ছায়াছবি মুক্তি পায়। ‘ধারাপাত’ এবং ‘কাঁচের দেওয়াল’।

‘ধারাপাত’- ছায়াছবির পরিচালক ছিলেন সালাউদ্দীন। অভিনেত্রী নাসিমা খান অভিনয় করেন এই ছায়াছবিতে, তাছাড়া সহ-শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন রূপবান কন্যা সুজাতা।

'কাঁচের দেওয়াল'- সে আমলের উল্লেখযোগ্য একটি ছায়াছবি কাঁচের দেওয়াল। পরিচালক ছিলেন জহির রায়হান। এই ছায়াছবিতে অভিনয় করেন আনোয়ার হোসেন, সুমিতা দেবী, খান আতাউর রহমান প্রমুখ। এই ছায়াছবির সংগীত পরিচালনা করেন খান আতাউর রহমান, এই ছবির জন্য তিনি সংগীত পরিচালক হিসেবে পাকিস্তান ফিল্ম ফেস্টিভাল এ ১৯৬৫ সালে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার লাভ করেন।

'তালাশ'- তেসরা মে, ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে ঢাকা, করাচী ও লাহরে মুক্তি পায় ঢাকা থেকে নির্মিত উর্দু ছায়াছবি 'তালাশ'। এই ছায়াছবির মাধ্যমেই রহমান-শবনম জুটি জনপ্রিয় হোন। সংগীতেও ছিল এই ছবিটি খুবই হিট। প্লেব্যাক সিংগার হিসেবে বশীর আহমেদের আত্মপ্রকাশ ঘটে এই ছায়াছবির মাধ্যমে। ছায়াছবিটি করাচীতে সুপার হিট গোল্ডেন জুবিলী সফলতা লাভ করে। অভিনয় করেন- শবনম, রহমান, আকবর প্রমুখ। প্রযোজক ছিলেন এফ এ দসানী। মুস্তাফিজের পরিচালনার নির্মিত এই ছবিতে সংগীত দেন রবীন ঘোষ। শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন বশীর আহমেদ, ফেরদৌসী বেগম, আনজুমান আরা, কাজী আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

চলবে......

*তথ্যসব বিভিন্ন সংবাদপত্র, উইকিপিডিয়া, ম্যাগাজিন থেকে সংগৃহিত। পরবর্তিতে সবগুলো লিংক দেওয়া হবে।

পূর্বে দুই পর্ব প্রকাশিত হয়েছিল, তা এখানে একসাথে করে দেওয়া হল। সময়ের অভাবে বাকি পর্বগুলো নিয়ে আসতে পারছি না। সময় পেলেই নিয়ে আসব।


সামহোয়ার-ইন ব্লগে প্রকাশিত
২৭ জুন, ২০১০
Related Posts with Thumbnails